বর্তমানে মানুষের জীবন যাত্রার মান, শিক্ষার হার, অর্থনৈতিক সূচক বা অবকাঠামোগত উন্নয়নের সাথে সাথে মানুষেন মন মানসিকতারও উন্নয়ন হয়েছে। একজন নারীর এগিয়ে যাওয়ার বিষয়টা একটি পুরষের মতো অতোটা সাবলিল নয়। মাতৃত্ব, সন্তান, সংসার এবং পরিবার এই বিষয়গুলোর সাথে একজন নারীর জীবনের সাথে জড়িত। একজন নারীর সফল হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো সে যে কাজটিই করে সেটি প্রচন্ড উদ্যম নিয়ে করে। আমাদের দেশে যেসব নারীরা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাদেরকে অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যেতে হয়েছে। যেসব নারীরা তথাকথিত সব বাধাবিপত্তি মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যায় দিনশেষে তারাই সাফল্য পায়। তবে একজন বিবাহিত নারীর এগিয়ে যাওয়ার পথ প্রশস্ত হয় যখন তার স্বামী তার পাশে তার স্বামীর উৎসাহ থাকে। রেডিও সৈকতের বহ্নিশিখা অনুষ্ঠানের জন্য গিয়েছিলাম একজন অদম্য নারীর কাছে যিনি অনেক কঠিন পথ অতিক্রম করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তিনি কক্সবাজারের দক্ষিন বাহারছড়া এলাকায় থাকেন। তার নাম টুম্পা চৌধুরী। তিনি বলেন, তার বিয়ে হয় মাত্র ১৬ বছর বয়সে। শৈশব থেকেই মনে স্বপ্ন ছিলো একদিন তিনি স্বাবলম্বী হবেন। গড়ে তুলবেন নিজের স্বতন্ত্র পরিচয়। ১৭ বছর বয়সে তার প্রথম সন্তান ভূমিষ্ট হয়। এই অল্প বয়সে ধরছেন সংসারের হাল, সেই সাথে করেছেন পড়ালেখা। শৈশবের স্বপ্ন ছিলো স্বাবলম্বী হবেন সেই স্বপ্নের বাস্তবায়নে এসেছে অনেক বাধা, প্রতিকূলতা। কিন্তু সমস্ত বাধাকে অতিক্রম করে বর্তমানে তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা। তার অদম্য মানসিকতা দেখে তার কাজে প্রতিনিয়ত উৎসাহ দিয়েছেন তার স্বামী। বর্তমানে তিনি ২ সন্তানের জননী। ঘর, পড়ালেখা, ব্যবসা সব কিছুই তিনি সামলে নিচ্ছেন দারুনভাবে। এভাবে অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর সাহসিকতা নিয়ে এগিয়ে যাক প্রতিটি নারী।