স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করার পর আমরা চাকুরির জন্য হন্যে হয়ে পড়ি। উপযুক্ত চাকুরি না পেলে তরুণ তরুণীরা নিজেকে ব্যর্থ মনে করে। অনেকে আত্মহত্যার পথ খুঁজে নেয়। যেখানে নবীনরা দেশের ভবিষ্যৎ কান্ডারী হবে সেখানে বেকারত্বের অভিশাপ জর্জরিত করে দিচ্ছে তরুন সমাজকে। কিন্তু উপযুক্ত চাকরি না পেয়ে নিরাশ বসে না থেকে আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে এদেশের তরুণ সমাজ দক্ষ মানব সম্পদে পরিনত হতে পারে। সা¤প্রতিক সময়ে দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে প্রতিবছর যে অনুপাতে চাকরি প্রত্যাশী গ্র্যাজুয়েটরা বেরিয়ে আসছে তার তুলনায় চাকরির বাজারে প্রবেশের সুযোগ একেবারেই নগণ্য। উপযুক্ত মেধা থাকার পরও প্রয়োজনীয় পদ না থাকায় অনেকেই পছন্দমত চাকরিতে প্রবেশ করতে ব্যর্থ হয়। এজন্য তরুন সমাজের মধ্যে আত্মকর্মসংস্থান তৈরী করা একান্ত জরুরী। রেডিও সৈকতের নবীন প্রান অনুষ্ঠানের জন্য আমরা এমন একজন তরুণের সাক্ষৎকার নিই যিনি পড়ালেখার পাশপাশি আত্মকর্মসংস্থানের কাজ শুরু করেছিলেন ফটোগ্রাফির মাধ্যমে। তার নাম রাজেশ দে। পড়াশোনার পাশাপাশি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার উদ্দেশ্যে তিনি আত্মকর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেন ফটোগ্রাফির মাধ্যমে। বর্তমানে তিনি কক্সবাজারে একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার হিসেবে ফিল্ম ফর পিস ফাউন্ডেশনে কাজ করেন। সেই সাথে কক্সবাজারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প যেমন পদ্মা গ্রুপ, যমুনা গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ সহ বিভিন্ন বড় গ্রুপে কাজ করেন। এছাড়াও তিনি কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক জনাব মো:কামাল হোসেন স্যারের ব্যক্তিগত ফটোগ্রাফার ছিলেন। তিনি বলেন তরুণ প্রজন্মের শির্ক্ষাথীরা যারা পড়াশোনা শেষ করে চাকরি পাচ্ছে না তারা যেন হতাশাগ্রস্ত না হয়। শখকে পেশা হিসেবে নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পারলেই আসবে কাক্সিক্ষত সাফল্য। এভাবে বাংলাদেশের শিক্ষিত তরুণ প্রজন্ম চাকরি না পেয়ে হতাশাগ্রস্ত না হয়ে স্বীয়-কর্মসংস্থান এর মাধ্যমে স্বাবলম্বী হোক এই প্রত্যাশা থাকবে রেডিও সৈকতের।