দৈনন্দিন জীবনের খুঁটিনাটি, সাজসজ্জা, সংসার, সন্তান , হেঁসেল, মশলার ঘ্রাণ এসবই তো নারীর নিত্যকার জীবনের অনুষঙ্গ। পারিবারিক ও সামাজিক নানা প্রতিকূলতার সাথে যুদ্ধ করে, দুস্তর পথ পাড়ি দিয়ে নারীকে সমাজের মূল স্রোতধারার বৃহৎ পরিধিতে পা রাখতে হয়েছে। একে একে সমস্ত বৈরী পরিস্থিতি পেরিয়ে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে, দেশের সার্বিক উন্নয়নে অকল্পনীয় ভূমিকা রাখছে। দেশের জাতীয় আয় বৃদ্ধিতে নারীদের ভূমিকা অসামান্য। নারীরা পরিবারের সমস্ত দায়িত্ব পালন করে তাদের জীবনের সকল কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। রেডিও সৈকতের পক্ষ থেকে বহ্নিশিখা অনুষ্ঠানের জন্য আমরা গিয়েছিলাম পাহাড়তলী এলাকায়। কথা বলি রুমা আক্তার নামে একজন অদম্য নারীর সাথে যিনি তার জীবনে শত প্রতিকূলতা, বৈরী পরিস্থিতি এবং তীব্র অভাব এর মধ্যে সংগ্রাম শুরু কওে আজ জীবনযুদ্ধে ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছেন। ২০১৬ সালে অর্নাস ও মাস্টার্স শেষে তার বিয়ে হয়। শৈশব থেকেই তার স্বাবলম্বী হওয়ার তীব্র আকাক্সক্ষা ছিলো । বিয়ের আগে তিনি তার এলাকায় কোচিং এ পড়াতেন। করোনাকালীন সময়ে তার পারিবারিক ব্যবসা চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়। প্রায় দশ থেকে পনের লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়। এসময় তিনি পরিবারের হাল ধরার চেষ্টা করেন। তিনি ফেসবুকে একটি পেইজ খোলেন যার নাম ছিলো “হেলদি নিডস”। এই পেইজের মাধ্যমে তিনি বর্তমানে প্রায় ত্রিশ (৩০) ধরনের মশলা, চালের গুঁড়া, চা-পাতা সহ বালাচাও এর মত পণ্য তৈরী করে ক্রেতাদেও কাছে বিক্রি করেন। ক্রেতারা যারা একবার তার পেইজ থেকে পণ্য ক্রয় করেন তারা আবারও তাকেই মসলার অর্ডার দেন। অসীম ধৈর্য নিয়ে তিনি তার মসলা গুলো তৈরী করেন যা ইতোমধ্যে ক্রেতাদের মন জয় করেছে। বর্তমানে তিনি স্বাবলম্বী এবং পরিবারের হাল ধরেছেন খুব শক্ত হাতে। এভাবে প্রদীপের শিখার মতো প্রজ্জ্বলিত হয়ে উঠতে হবে নারীদের, নিজেদের স্বাবলম্বী করার পদক্ষেপটি নিজেকেই নিতে হবে। নারীরা জীবনের সকল কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যাবে এই প্রত্যাশা থাকবে রেডিও সৈকতের।