কর্মক্ষেত্রে ও যানবাহনে এমনকি পরিবারেও নারীর ওপর সহিংসতা বাড়ছে। নারী শিক্ষা, রাজনীতি, মাতৃমৃত্যু হার রোধে অনেক অগ্রগতি হলেও নারীর উপর সহিংসতার উন্নতি এখনো হয়নি শুধু মাত্র নারী বলে। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৭০৩ জন নারী ও কন্যা শিশু সহিংসতার শিকার হয়েছেন। নারীর চলাফেরা ও কর্মক্ষেত্রে তার নিরাপত্তা, নারীর প্রতি চলমান সহিংসতা, নির্যাতন রোধে যেসব বাঁধা রয়েছে তা প্রতিরোধ করা একান্ত জরুরি। প্রীতিলতা অনুষ্ঠানের জন্য রেডিও সৈকতের পক্ষ থেকে গিয়েছিলাম এমনই একজন নারীর কাছে যিনি তার জীবনে অনেক প্রতিকূলতা ও সহিংসতার পথ অতিক্রম করে জীবনে উঠে দাড়িয়েছেন। তিনি হচ্ছেন হেনা বড়ুয়া। যিনি কষ্ট সয়ে পরিশ্রম করে হয়েছেন স্বাবলম্বী, নিয়েছেন পরিবার ও সন্তানদের ভরনপোষনের দায়িত্ব। এক কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে সমাজে গড়েছেন নিজের পরিচয়। তিনি বলেন “পারিবারিক জীবনে ছোট বেলা থেকেই সহিংসতার শিকার হয়েছি। শ্বশুর বাড়িতেও বিয়ের পর কষ্টে সময় কেটেছে। একটা সময় ভাবলাম স্বাবলম্বী হতেই হবে অন্তত সন্তানদের জন্য হলেও।” উদ্যোক্তা জীবনের শুরুটাও সহজ ছিলো না। লোকে ৫০, ১০০টি পোশাক দেখতো কিন্তু নিতো ১টি। এরকম অনেক হয়রানির শিকার হয়েছেন কিন্তু তিনি হাল ছাড়েননি। বর্তমানে সমস্ত সহিংসতা কাটিয়ে তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা। প্রতি মাসে তার লক্ষ টাকার বেশি পোশাক বিক্রি হয় এবং সন্তানদের নিয়ে খুব ভালো আছেন।
নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ শুধু জাতির কল্যানে নয়, দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের জন্যও একান্ত গুরত্বপূর্ণ