প্রযুক্তি নিয়ে আছে অনেক নতুন তথ্য। আমাদের চারদিক এখন প্রযুক্তিতে ঘেরা। এত এত প্রযুক্তি যে আমরা এখন সহজে বুঝতেও পারিনা প্রযুক্তি দিয়ে আমরা কতটুকু আচ্ছন্ন। আমাদের গায়ের জামা, জুতো থেকে শুরু করে সবই প্রযুক্তি।
আজকাল কম্পিউটার বা মোবাইলে ক্লাউড” শব্দটি আমরা অনেকেই কম বেশি শুনছি। খুব সহজ করে বলতে গেলে ক্লাউড কম্পিউটিং হল নিজের দরকারে আরেকজন এর জিনিসপত্র শেয়ার করা। একটা উদাহরণ দেয়া যাক , আমরা যারা গল্পের বই পড়ি, তারা মাঝে মাঝে বিভিন্ন লাইব্রেরী থেকে বই ভাড়া নিয়ে আসি। কারণ যারা অনেক বই পড়ে তাদের সব বই কিনে পড়ার সামর্থ্য থাকেনা কিংবা অনেক বই একবার পড়লেই হয়। তো কয়েকদিনের জন্য ভাড়া পাওয়া গেলে পাঠক এর ও সুবিধা আবার যারা ভাড়া দেয় তাদের ও লাভ। লাইব্রেরীতে অলস পড়ে থাকার চেয়ে একই বই তারা পুনঃপুন পাঠক কে ভাড়ায় পড়তে দিয়ে লাভ করতে পারে।
ক্লাউড কম্পিউটিং হল ইন্টারনেটের মাধ্যমে সেবা দেয়ার একটি মাধ্যম। ক্লাউড কম্পিউটিং এর মাধ্যমে একজন ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান অন্যের রিসোর্স যেমন ভার্চুয়াল মেশিন, স্টোরেজ, কিংবা অন্য কোনো সেবা নিতে পারে। এর জন্য উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের আলাদা ভাবে পুরো অবকাঠামো তৈরির কোনো দরকার পড়ে না। যেমন, আপনার কয়েকদিনের জন্য একটা হাই পারফরম্যন্স এর কম্পিউটার এর দরকার পড়ল। সবসময় যেটার কোনো কাজ নেই। এখন কয়েকদিনের জন্য এমন কনফিগারেশান এর কম্পিউটার কিনেও পোষায় না। খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি হয়ে যাবে। তখন আপনি ক্লাউড কম্পিউটিং এর মাধ্যমে যে কোনো ক্লাউড কোম্পানি থেকে আপনার যে কয়দিন দরকার ঠিক সেই কয়দিনের জন্য ভার্চুয়ালি আপনার দরকার মত মেশিন ব্যবহার করতে পারবেন। এতে আপনার বাড়তি অনেক খরচ যেমন বেঁচে যাবে তেমনি কোম্পানির ও কোনো আর্থিক ্্ক্ষতি নাই আপনাকে কয়দিনের জন্য একটা রিসোর্স ভাড়া দিয়ে। কারণ তাদের রিসোর্স অলস বসে থাকেনা। অনবরত কেউ না কেউ ভাড়া নিচ্ছে আবার ফেরত দিচ্ছে।
এক লাইনে বলতে গেলে, ক্লাউড কম্পিউটিং একটা ব্যবসায়িক মিথস্ক্রিয়ার মত। যাতে সেবাদাতা এবং গ্রহীতা দুই পক্ষই লাভবান হয়।