ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে ১৭ নভেম্বর , ২০২৩ শুক্রবার কক্সবাজারে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করেছিল আবহাওয়া অফিস। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছিল। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে কক্সবাজার জেলায় সকাল থেকে গুড়িগুড়ি বৃষ্টিসহ থমথমে আবহাওয়া বিরাজ করছিল। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী, কুতুবদিয়া, সেন্টমার্টিনে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বেড়ে যাওয়ায় ঝুঁকিতে ছিল নিম্নাঞ্চলের মানুষ৷ শুক্রবার ১৭ নভেম্বর বিকেল ৩টায় আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরসমুহকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর দেখানো হয়েছে৷
ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে আগাম প্রস্তুতি নিয়েছিল কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। এই বিষয়ে কক্সবাজার জেলার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান রেডিও সৈকতকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে জানান মিধিলি আঘাত হানার সম্ভাবনায় যখন কক্সবাজারে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেয়া হলো তার সাথে সাথেই জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করা হয়েছে এবং জনগণকে সচেতন করার জন্য মাইকিং অব্যাহত রয়েছে। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ উপজেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করেছেন। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। জনগণকে আশ্রয়কেন্দ্রে আসার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। শুকনো খাবার, মোমবাতিসহ দূর্যোগকালীন প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত সামগ্রী মজুদ আছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তা অনুযায়ী সকলে যেনো আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসেন, সেজন্য তিনি দূর্যোগে ঝূঁকিপূর্ণ এলাকার লোকজনদের আহ্বান করেছেন।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে ১৭ নভেম্বর কক্সবাজারে ঝোড়ো বাতাস ও ভারী বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলার বিভিন্ন জায়গায় গাছ উপড়ে গেছে। ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে।