দুর্যোগের সময় কোন এলাকার লোক কোন আশ্রয়ে যাবে,গবাদিপশু কোথায় থাকবে, তা আগে ঠিক করে রাখুন এবং জায়গা চিনিয়ে রাখুন।
যথাসম্ভব উঁচু স্থানে শক্ত করে ঘর তৈরি করুন। পাকা ভিত্তির ওপর লোহার বা কাঠের পিলার এবং ফ্রেম দিয়ে তার ওপর ছাউনি দিন। ছাউনিতে টিন ব্যবহার না করা ভালো। কারণ ঝড়ের সময় টিন উড়ে মানুষ ও গবাদিপশু আহত করতে পারে।
উঁচু জায়গায় টিউবওয়েল স্থাপন করুন,যাতে জলোচ্ছ্বাসের লোনা ও ময়লা পানি টিউবওয়েলে ঢুকতে না পারে।
জেলে নৌকা,লঞ্চ ও ট্রলারে রেডিও রাখুন। সকাল, দুপুর ও বিকেলে আবহাওয়ার পূর্বাভাস শোনার অভ্যাস করুন।
সম্ভব হলে বাড়িতে কিছু প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম(ব্যান্ডেজ, ডেটল প্রভৃতি) রাখুন।
বাড়িতে ও রাস্তায় নারকেল,কলাগাছ, বাঁশ, তাল, কড়ই ও অন্যান্য শক্ত গাছপালা লাগান। এসব গাছ ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের বেগ কমিয়ে দেয়। ফলে মানুষ দুর্যোগের কবল থেকে বাঁচতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে বা অন্য আশ্রয়ে যাওয়ার সময় কী কী জরুরি জিনিস সঙ্গে নেওয়া যাবে এবং কী কী জিনিস মাটিতে পুঁতে রাখা হবে,তা ঠিক করে সেই অনুসারে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।
আর্থিক সামর্থ্য থাকলে ঘরের মধ্যে একটি পাকা গর্ত করুন। জলোচ্ছ্বাসের আগে এই পাকাগর্তের মধ্যে অতি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখতে পারবেন।
ডায়রিয়া মহামারির প্রতি সচেতন দৃষ্টি রাখতে হবে। শিশুদের ডায়রিয়া হলে কীভাবে খাবার স্যালাইন তৈরি করতে হবে,সে বিষয়ে পরিবারের সবাইকে প্রশিক্ষণ দিন।
ঘূর্ণিঝড়ের মাসগুলোতে বাড়িতে মুড়ি,চিড়া, বিস্কুটজাতীয় শুকনো খাবার রাখা ভালো।
নোংরা পানি কীভাবে ফিটকারি বা ফিল্টার দ্বারা খাবার ও ব্যবহারের উপযোগী করা যায়,সে বিষয়ে পরিবারের সবাইকে প্রশিক্ষণ দিন।
বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করুন। বৃষ্টির পানি বিশুদ্ধ। মাটির বড় হাঁড়িতে বা ড্রামে পানি রেখে তার মুখ ভালোভাবে আটকিয়ে রাখতে হবে,যাতে পোকা-মাকড়, ময়লা-আবর্জনা ঢুকতে না পারে।