শিশুশ্রমিক কাদের, পরিবারের মুখে দু’বেলা অন্য জোগান দিতে সমুদ্র সৈকতে হকারি করছে কাদের। কখনো পানি বিক্রি করছে আবার কখনো পুঁথির মালা কানের দুল বিব্রি করে সংসার চালায়। তার নিষ্পাপ কণ্ঠ যেন খেলার মাঠে বা স্কুলেই মানায়, দোকানে বা রাস্তায় নয়। মনে একটু খোচা লাগছে। এমন সব ছোট কচি শিশুরা অধিকার পায়না, নিজেদের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারে না, এই ভাবনা কী আমাদের মনকে নাড়া দিয়ে যায়না? কাদের জায়গায় যদি আমাদের সন্তানরা বা আমাদের ছোট ভাই বোনরা থাকত তাহলে আমরা কি তা মেনে নিতে পারতাম।
সমুদ্র সৈকতে আইন শৃংখলা রক্ষায় কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। এবিষয়ে আমরা কথা বলেছিলাম সৈয়দ মুরাদ ইসলাম, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, সৈকতে শিশুশ্রম বন্ধ করতে কি কাজ হচ্ছে, সরকার কী সহায়তা দিচ্ছে সেই ব্যাপারে নানান কথা জানান তিনি। আজকের শিশু আগামীর কর্ণধার। একটি শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ পরিপূর্ণভাবে ঘটলে সে একজন সুস্থ্য স্বাভাবিক মানুষ হয়ে বড় হবে ও দেশের কল্যাণে অবদান রাখবে। প্রতিটি শিশু আনন্দময় একটি শৈশব পাবার অধিকার রাখে, যে শৈশবে থাকবে না ক্ষুধা, একাকীত্ব, বা বঞ্চনার হাহাকার। আর সেই অধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমাদের সবার।