বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তির মায়ের কষ্টের কোন শেষ থাকে না। উখিয়া উপজেলার জালিয়া পালং ইউনিয়নের বেগম জান ৬ সন্তানের জননী। বহু প্রতীক্ষার পর ৫ কন্যা সন্তানের জন্মের পর তার দরিদ্র ঘরে তার কোল আলো করে আসে তার পুত্র সন্তান। কিন্তু জন্মের পর তিনি বুঝতে পারলেন তার এই বহুল প্রতীক্ষিত পুত্র সন্তানটি স্বাভাবিক না।
ঘরে প্রচন্ড অভাব নিয়ে ব্যয়বহুল চিকিৎসা করানো দুরূহ ছিল। তারপরও তিনি তার সাধ্যমতো চিকিৎসা করিয়েছেন তার বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন সন্তানটির। বর্তমানে তার বয়স বিশ বছর হলেও কোন মানসিক বৃদ্ধি নেই। সে হাটতে ,চলতে, খেতে পারে না। আজ পর্যন্ত তিনি চারপাশের প্রতিবেশীদের থেকে তিনি তেমন কোন সাহায্য পাননি। সাহায্য পাননি জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ থেকেও। দীর্ঘ বিশ বছর ধরে এই সন্তানটির যতœ করতে করতে মায়ের শরীর এখন জীর্ণ ও দুর্বল।
¯স্রস্টার কাছে মায়ের মনের ঐকান্তিক প্রার্থনা, তার মৃত্যুও পূর্বেই যেন তার সন্তানের মৃত্যু হয়। কারন এই পৃথিবীতে তার এই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন সন্তানটির দেখাশোনা করার কেউ নেই। একজন মা কতটুকু কষ্ট থেকে তার সন্তানের মৃত্যু কামনা করে তা অবশ্যই আমরা বুঝতে পারছি। সরকার এবং সমাজের সকল বিত্তবানরা যেন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়ায় এই আহবান রইলো রেডিও সৈকতের।