মাত্র আঠারো বছর বয়স থেকে তাসনুভা করিম সাইমা উদ্যোক্তা হওয়ার যাত্রা শুরু করেছিল বর্তমানে এখন একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
তরুণ উদ্যোক্তা তাসনুভা করিম সাইমার সাথে কথা বলে জানা যায় যে, সে সব সময় সপ্ন দেখত ফ্রিলেন্সার হবার। সর্ব প্রথম তিনি এড ফি দিয়ে ঢাকার একজন আপুর কাছে রিসেলার হিসেবে কাজ শুরু করেন। এইখান থেকে তার উদ্যেক্তা হওয়ার যাত্রা শুরু। রিসেলারের কাজ করে কিছু ইনকাম করেন যা সর্ম্পূণ্য শূণ্য পুজিঁ দিয়ে।
তিনি আরো বলেন, তারপর কোন রকম ইনভেস্টমেন্টস ছাড়া বিউটি গ্যালারি পেইজ ওপেন করেন। ভাগ্যক্রমে পেইজ ওপেন করার পর তার অনেক প্রোডাক্ট প্রি-অর্ডার আসে। অর্ডারগুলোর মধ্যে ছিল দুবাই বোরকা এবং বিভিন্ন রকম কসমেটিকস । কিন্তু করোনার কারনে তিনি প্রোডাক্টগুলো দুবাই থেকে আনতে না পেরে ঢাকা থেকে বিভিন্ন রকম ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট নিয়ে আসেন যার বিক্রি ভাল হয়েছিল।
এরপর তিনি গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নেন। কক্সবাজারের মত শহরে নারী গ্রাফিক্স ডিজাইনার খুব কম দেখা যায় এটি কক্সবাজারের জন্য পজেটিব দিক। পরবর্তীতে তিনি কোকিস পেইজ ওপেন করেন । যেইখানে তিনি বিভিন্ন রকম কেকের জিনিসপত্র ও কেক বিক্রি করেন। শুরু থেকে এই পর্যন্ত আসার পথ তেমন সহজ ছিলনা। তার মনের ভিতর সপ্ন পূরণ করার তীব্র ইচ্ছে ছিল বলে তার পক্ষে এই পথ পাড়ি দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
তিনি জানান গত এক মাস ধরে রেডিও সৈকতের পেইজের সাথে যুক্ত আছেন। তার রেডিও সৈকতের একটা জিনিস খুব ভাল লেগেছে সেইটি হল উদ্যোক্তাদের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তাদের দীর্ঘযাত্রা সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরা। তিনি বলেন, যদি এই গল্পগুলো পাচঁজন দেখেন এবং তাদের দেখে যদি আরো দশজন দেখেন তাহলে তাদের মধ্যে উদ্যোক্তা হওয়ার প্রতি আগ্রহ বাড়বে। ফলে সমাজে বেকারত্বের সংখ্যা কমবে এবং সুষ্ঠ সমাজ গঠিত হবে।
এই রকম তরুণ উদ্যোমি উদ্যোক্তা আমাদের অর্থনীতি সচল রাখার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন।