১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে সহকারী শ্রোতা ফিডব্যাক অফিসার আকলিমা আক্তার এবং সহকারী অনুষ্ঠান প্রযোজক জয়া পাল উখিয়ার কুতুপালং এর ফজ্জর হাড়ি এলাকায় রেডিও সৈকতের গৃহিণী শ্রোতাক্লাবে গিয়েছিলেন। শ্রোতাক্লাবের সদস্যদের নিয়ে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উপস্থিত সকল সদস্যদেরকে রেডিও সৈকতের সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানগুলো দেয়া হয় এবং বাল্যবিবাহ রোধ, কিশোরকিশোরীর স্বাস্থ্য, নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে আমাদের করণীয়, বাল্যবিবাহ হলে শারীরিক মানসিক কী কী ক্ষতি হতে পারে, কিশোর কিশোরীদের বয়ঃসন্ধিকালীন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং কেন প্রয়োজন এসব বিষয়ে বিশদ আলোচনার মাধ্যমে সচেতনতা তৈরি করা হয়।
এছাড়া রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশীদের মধ্যে সামাজিক সম্প্রীতি নিয়ে আলোচনা করা হয় । বাংলাদেশে বসবাসরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং বাংলাদেশী জনগোষ্ঠীদের মধ্যে কীভাবে সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখা যায়, তাদের দুই জনগোষ্ঠীর মধ্যে যে দ্বন্দ্ব রয়েছে সেগুলো দূর করে কীভাবে দুই জনগোষ্ঠী মিলেমিশে বসবাস করবে সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়। সামাজিক শান্তি সম্প্রীতি নিয়ে শ্রোতা ক্লাবের সদস্যদের একটি রেডিও নাটিকা শোনানো হয়। এ অনুষ্ঠান থেকে তারা কে কি বুঝতে পেরেছেন এ বিষয়ে উপস্থিত সদস্যরা তাদের মতামত জানান । রেডিও সৈকতে আর কি কি অনুষ্ঠান সম্প্রচার হলে শ্রোতারা উপকৃত হবে সে বিষয়ে শ্রোতাক্লাবের সদস্যদের পরামর্শ নেওয়া হয়। সেই সাথে শ্রোতা ক্লাবের সদস্যদের বাড়িতে রেডিও সৈকতের স্টিকার লাগানো হয় এবং লিফলেট দেওয়া হয়।
শ্রোতা ক্লাবের সদস্যরা বলেন, তারা নিয়মিত রেডিও সৈকত শুনবেন এবং সম্প্রচারিত সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান শুনে তা নিজেদের জীবনে কাজে লাগাবেন । সর্বশেষে শ্রোতা ক্লাবের সদস্যরা রেডিও সৈকতকে ধন্যবাদ জানায় রেডিও সেটের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শোনার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।