কক্সবাজারে কিছুদিন ধরে তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে ছোট ঘরটায় বসে রেডিওতে সামাজিক সম্প্রীতির অনুষ্ঠান শুনতে হচ্ছে সকলকে। বলছিলাম কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে লম্বাশিয়া এলাকার শ্রোতাক্লাবের কথা। এটি এমন এলাকা যেখানে বেশিরভাগ রোহিঙ্গা পরিবার তার ভেতরে মাত্র দুটি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর পরিবার। এখানে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে নিয়ে রেডিও সৈকতের একটি শ্রোতাক্লাব গঠন করা হয়েছে। যার উদ্দেশ্য হচ্ছে তাদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে দুই জনগোষ্ঠীর মধ্যে সম্প্রীতি বাড়ানো। ক্লাব গঠনের আগে ও তাদের মধ্যে তেমন একটা সুসম্পর্ক ছিল না। সামান্য কিছু নিয়ে ঝগড়া লেগে যেতো। কিন্তু এখন আর সেটা নেই। তুমুল বৃষ্টির মধ্যে ক্লাবের বেশিরভাগ সদস্য এসে হাজির। হঠাৎ এক রোহিঙ্গা নারীও তার সন্তানকে নিয়ে উপস্থিত। জানতে চাইলে ক্লাবের লিডার জানালো উনি পাশে থাকেন, ফোনের চার্জ দেয়ার জন্য এসেছেন। তারপর একে একে অনেকে জানালো তারা একসাথে বেশ গল্প স্বল্প করেন, একে অন্যের বাসায় যান, ছেলেমেয়েরা একসাথে খেলাধুলাও করেন। প্রথম দিকে তাদের প্রতি যে রাগ- ক্ষোভ ছিল এখন অন্তত এই এলাকায় তাদের মধ্যে তা নেই। রেডিও সৈকত ও টি আর ফান্ড একসাথে কয়েক মাস ধরে উভয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে সম্প্রীতি বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।