আদিকাল থেকে বর্তমানে সম্প্রীতির রূপ বদলেছে কিন্তু মানুষে মানুষে সম্প্রীতি আজো বিদ্যমান। সম্প্রীতি ছাড়া সমাজে শান্তি অসম্ভব। তাই সমাজে শান্তি বজায় রাখার জন্য সবার মাঝে সম্প্রীতির বন্ধন সুদৃঢ় করতে হবে। আর্থসামাজিক, জাতীয়-আন্তজার্তিক যে কোন দুর্বিপাকে বিবেকবান সামাজিক দায়বদ্ধ আধুনিক কবিগণ সবসময় সম্প্রীতি বজায় রেখে চলার কথা নিজেদের লেখনিতে প্রকাশ করেছেন।
সম্প্রীতি সম্পর্কে কবিদের ভাবনা জানতে আমরা গিয়েছিলাম কবিদের সাপ্তাহিক একটি আলোচনা সভায়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, শিক্ষা অফিসার ও কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমির সহ-সভাপতি ও কবি নাসির উদ্দিন, রামু ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক কবি দিলুয়ার চৌধুরী, কক্সবাজার কেজি ও মডেল হাই স্কুলের শিক্ষক কবি কানিজ ফাতেমা, কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সোহেল ইকবাল, কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমির সাধারণ-সম্পাদক কবি রুহুল কাদের বাবুল।
এই কবিগণ সম্প্রীতি সম্পর্কে অনেক কিছু বলেন। তারা বলেন সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই দুই ইউনিটকে প্রধান ভূমিকা পালন করতে হবে। তারা আরো বলেন বিশ^ায়ন যেমন তথ্য প্রযুক্তি এবং জ্ঞানগতভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তেমনি আবার আমাদের আবহমান বাংলার সংস্কৃতি বিলুপ্ত করে দিচ্ছে। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও পরিবার এই দুই ইউনিটকে কাজ করতে হবে যাতে শিশুরা অপসংস্কৃতির কবলে পড়ে সমাজের শান্তি ও সম্প্রীতির ব্যাঘাত না ঘটায়। একজন কবি বলেন কবিরা তাদের লেখনির মাধ্যমে মানুষের মনের অন্ধকার দূর করে সেইখানে সৌর্ন্দয্যের চাষ করাই হল কবিদের কাজ। তারা বলেন সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য নিজেদের ছোট স্বার্থগুলোকে বিসর্জন দিতে হবে। বৃহত্তর স্বার্থে, মননশীলতার স্বার্থে, সৃষ্টিশীলতার স্বার্থে আমাদের সবাইকে সম্প্রীতির, ভালবাসার নান্দনিক যে দিকগুলো আছে তা আমাদের মনে ধারণ করতে হবে।