কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. কণিনিকা দস্তিদার জানিয়েছেন, কিশোরীদের কিশোরী বয়সে টিটি (টিটিনাস) টিকা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। কারণ, এ কিশোরীরাই ভবিষ্যতে মা হবে এবং সন্তান জন্মদানের সময় মা ও নবজাতক উভয়েই টিটিনাস সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকে। এই সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্যই কিশোরী বয়সে টিটি টিকা গ্রহণ অপরিহার্য।
তিনি বলেন, সাধারণত একজন কিশোরীর ১১ থেকে ১৪ বছর বয়সে ৫ ডোজ টিটিনাস টিকা নেওয়া উচিত। তবে যদি কোনো কিশোরী এই টিকা না নেয়, তাহলে গর্ভাবস্থায় ২ ডোজ টিটিনাস টিকা দিতে হয়। কখন এবং কত ডোজ প্রয়োজন নিতে হবে, এইজন্য প্রয়োজন চিকিৎসকের পরামর্শ ।
ডা. কণিনীকা দস্তিদার আরও জানান, মা হওয়ার কারণে মেয়েদের নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়। এর মধ্যে সারভাইকাল ক্যান্সার অন্যতম। এ রোগের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেতে যত দ্রুত সম্ভব কিশোরীদের সারভাইকাল ক্যান্সারের ভ্যাকসিন নেওয়া জরুরি। তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, এই টিকার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।