কক্সবাজার জেলা কার্যালয় পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জনাব খন্দকার মাহমুদ পাশা বলেছেন, একসময় পৃথিবী ছিল দূষণমুক্ত। কিন্তু শিল্পায়ন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভোলিউশন ও শিল্পকারখানার কারণে আজ বায়ু ক্রমেই দূষিত হচ্ছে। এর প্রভাব শুধু জীববৈচিত্র্য নয়, উদ্ভিদের ওপরও পড়ছে। উদ্ভিদের বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার কারণে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও জীববৈচিত্র্য চরম ঝুঁকির মুখে পড়ছে।
তিনি আরও বলেন, বায়ু দূষণ কোনোভাবেই আটকে রাখা যায় না এটি সীমান্ত ছাড়িয়ে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন দেশের কারণে আমাদের দেশেও বায়ু দূষণের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। আন্তঃমহাদেশীয় দূষণের প্রভাবে প্রাণীকুল ধ্বংসের সম্মুখীন হচ্ছে। তবে একই সঙ্গে উদ্ভিদই আবার এই দূষণের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তারা দূষিত বায়ু থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে আমাদের জন্য অক্সিজেন সরবরাহ করছে।
বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকারি উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন তিনি। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সমন্বয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। বিশেষ করে গাড়ির কালো ধোঁয়া, ইটভাটার ধোঁয়া এবং অতিরিক্ত নির্গমন রোধে নিয়মিত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।