বিশ্ব স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, জলাতঙ্ক এমন একটি রোগ যার মৃত্যুহার শতভাগ। একবার রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেলে কার্যকর কোনো চিকিৎসা নেই। তবে সময়মতো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিলে এটি পুরোপুরি প্রতিরোধ করা সম্ভব।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শাহজাহান নাজির জানান, কুকুর, বিড়াল, বাদুড়, বেজি প্রভৃতি প্রাণী থেকে জলাতঙ্ক ছড়ায়। কামড় বা আঁচড়ের ধরন অনুযায়ী চিকিৎসা তিন ভাগে বিভক্ত—
ক্যাটাগরি ওয়ান: প্রাণীর সংস্পর্শে আসা, ঝুঁকি নেই।
ক্যাটাগরি টু: আঁচড়ে চামড়ার সাদা অংশ দেখা গেলে ভ্যাকসিন প্রয়োজন।
ক্যাটাগরি থ্রি: গভীর কামড়ে রক্ত পড়লে ভ্যাকসিনের পাশাপাশি ইমিউনোগ্লোবুলিন দিতে হয়।
তিনি আরও বলেন, রোগ প্রতিরোধে নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুযায়ী টিকা নেওয়া জরুরি।
কক্সবাজার জেলা ভেটেরিনারি অফিসার ডা. নন্দন কুমার চন্দ , জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধের জন্য প্রতি বছর পোষা প্রাণীকে টিকা দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া কক্সবাজার জেলায় ফ্রি ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে পথের কুকুর ও বন্য প্রাণীদের টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।