অক্ষম, অবলা, অশিক্ষিত, পরনির্ভরশীল এবং অন্ধকারে ডুবে থাকা, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর তকমা ছুঁড়ে ফেলে বর্তমানে নারীরা নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। নারীরা আপন শক্তিতে বলীয়ান হয়ে ঘরের চৌহদ্দি পেরিয়ে নিজেকে নতুন ভাবে নির্মাণ করেছে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রমাণ রাখছে নিজের সক্ষমতার। রেডিও সৈকতের “প্রেরনা” অনুষ্ঠানের জন্য গিয়েছিলাম এমনি একজন নারীর কাছে। তার নাম নওশোভা মোক্তার সিয়াম। যিনি প্রথম কক্সবাজার জেলার নারীদের অনলাইন ব্যবসার সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। যিনি উন্মোচিত করেছেন কক্সবাজারে অনলাইন ব্যবসার দুয়ার। তিনিই প্রথম কক্সবাজারে ই-কর্মাস মেলার আয়োজন করেছিলেন। কক্সবাজারের মেয়ে হলেও তিনি চট্টগ্রামে পড়াশোনা করেছেন। তিনি উপলব্ধি করেন কক্সবাজারের নারীরা অনলাইন ব্যবসায় পিছিয়ে রয়েছে। কক্সবাজারের নারীদের স্বাবলম্বী করার ঐকান্তিক প্রয়াস থেকেই ২০১৮ সালের ৯ মে তিনি “ডিভাস অব কক্সবাজার ” নামে একটি অনলাইন গ্রæপ চালু করেন। বর্তমানে এই গ্রুপে নারী উদ্যোক্তার সদস্য সংখ্যা ৮৫০ জন। এই গ্রæপের মাধ্যমে নারীরা স্বাবলম্বী হয়েছেন, সংসারের হাল ধরেছেন, সৃষ্টি করেছেন নিজের স্বতন্ত্র পরিচয়। অনেক নারী দীর্ঘ দিনের পারিবারিক নির্যাতন-সহিংসতা থেকে বেরিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন। বর্তমানে গ্রæপটির মাধ্যমে নারীরা বøক, বাটিক, হাতের কাজ, কসমেটিকস, গার্মেন্টস আইটেম, খাবার, ঘর সাজানোর পণ্য, বিউটি পার্লার, সেলাইসহ বিভিন্ন ব্যবসা পরিচালনা করে থাকেন। সিয়াম বলেন যে নারীরা অর্নাস, মার্স্টাস এর পরও চাকরী পান না সেই নারীরা বাসায় বসে না থেকে যেন উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করেন। সিয়াম স¦প্ন দেখেন তার এই গ্রæপটির মাধ্যমে স্বাবলম্বী হবে কক্সবাজারের হাজারো নারী এবং সরকারিভাবেও তার এই গ্রæপটি স্বীকৃতি পাবে। সিয়ামের স্বপ্ন সত্যি হোক, স্বাবলম্বী হোক কক্সবাজার জেলার হাজারো নারী এই প্রত্যাশা থাকবে রেডিও সৈকতের।