শ্রোতা,সাধারণ মানুষের অসাধারণ হয়ে উঠার পেছনে একটা গল্প থাকে। সেই গল্পের বাঁকে বাঁকে থাকে সংগ্রাম। স্বাধীনচেতা মানুষেরা একটু বেশীই সংগ্রামী হয়। যেখানে সম্ভব নয় সেখানেই তারা বিজয়ের নিশান ওড়ান। কিন্তু সেই গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্রটি যদি হয় একজন নারীর,তখন তার পথটা বোধয় আরো বেশী সংগ্রামের হয়ে উঠে।
শ্রোতা তেমনই একজন সংগ্রামী,পরিশ্রমী এবং আজকের দিনের সফল নারী উদ্যেক্তা নয়ন সেলিনা। একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি বিয়ের মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় নয়ন সেলিনার স্বামী নিখোঁজ। ছোট দুই শিশুসন্তানকে নিয়ে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে নেমে পড়েন সাগরদ্বীপ কুতুবদিয়ার মেয়ে নয়ন সেলিনা। তবে তার লড়াইটা ছিলো ব্যতিক্রম। শহরের কলাতলীর ৩০ শতক জমির ওপর গড়ে তুলেছেন পোলট্রি ও ডেইরি ফার্ম। মুরগি ও গরু প্রতিপালনের পাশাপাশি এর বিষ্ঠা এবং গোবরকেও কাজে লাগিয়েছেন। এ দিয়েই তিনি তৈরী করেছেন বয়োগ্যাস প্ল্যান্ট।
নয়ন সেলিনার পোল্ট্রি ফার্মে বর্তমানে মুরগীর সংখ্যা ২৫০০-৩০০০, যার মধ্যে সকল মুরগীই ডিম দেয়। তিনি বলেন, “সফল হতে হলে পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই।
কক্সবাজারের প্রথম নারী উদ্যোক্তা নয়ন সেলিনা বলেন, ‘প্রথম অবস্থায় যতখানি গ্যাস উৎপাদন হতো তা দিয়ে আমার সংসারের পুরো মাসের জালানীর চাহিদা মিটে যেত। ভাবলাম প্রতিবেশীদের জন্যও এটা করা যেতে পারে। তাদেরও জ¦ালানীর সমস্যা থাকবে না। নিজ স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিতে দিন রাত কঠোর পরিশ্রম করি। একটু একটু করে আমার স্বপ্নের পরিকল্পনাগুলো সত্যি হয়।’
সাফল্যেও বিপরীতে ইচ্ছাশক্তির কথা তুলে ধরে নয়ন সেলিনা বলেন, ‘স্বামী নিখোঁজ হওয়ার পর অভাবের সংসারে দিশা হারাইনি। সিদ্বান্ত নিয়েছিলাম, কারো দয়ার পাত্রি হব না। যত ঝড়ঝাপটা আসুক পিছপা হবো না। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে নেমে পড়েছি কাজে।’