তীব্র পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন উত্তর নুনিয়ারছাড়ার বাসিন্ধা খালেদা বেগম। মাত্র ১৭ বছর বয়সে তীব্র অভাবের তাড়নায় তাকে বিয়ে দেয়া হয় মহেশখালীর শাপলাপুর গ্রামে। কিন্তু, বিয়ের মাত্র দুটি মাস তিনি শ্বশুরবাড়িতে ভালো ছিলেন।
ধীরে ধীরে তিনি উপলব্ধি করতে পারলেন, তার স্বামীর নিকট আত্নীয়ার সাথে বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে। স্বামীর কাছে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়ায় পর শুরু হয় স্বামী ও শ্বশুড়ী কৃর্তক অমানসিক নির্যাতন। এরই মধ্যে তার কোল আলো করে আসে পরপর দুটি সন্তান। তারপরও থামেনি স্বামীর অমানসিক নির্যাতন। শেষ পর্যন্ত সহ্য করতে না পেরে তিনি বাবার বাড়িতে ফেরত আসতে বাধ্য হন । সন্তানদের কোন ভরণ পোষন না দেয়া, অকথ্য ভাষায় গালি, নির্যাতন, চরম অর্থ দারিদ্য সাথে নিয়েই কেটে গেছে বিয়ের আটটি বছর।
জীবনের কঠিন দ্বারপ্রান্তে পৌছে তিনি সিদ্ধান্ত স্বাবলম্বী হবার সিদ্ধান্ত নেন। সেই লক্ষ্যে তিনি সেলাই কাজ শিখেন এবং একটি সেলাই মেশিন কিনেন। সেলাই কাজের মাধ্যমে তিনি এখন স্বাবলম্বী।
পারিবারিক সহিংসতার শিকার প্রতিটি নারী যেন মুখ বুজে নির্যাতন সহ্য না করে, যেন প্রতিবাদ করে। প্রতিটি নারীর উচিত স্বশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার চেষ্টা করা এই প্রত্যাশা রেডিও সৈকতের।