এ মাসেই আম, কাঁঠাল, জামসহ নানা জাতের ফল পাঁকে। এসব পাঁকা ফলের মিষ্টি গন্ধ সহজেই মন কাড়ে। বাজারের দোকানি ও ফুটপাতের দোকানদার ফলের ঝুঁড়ি নিয়ে বসেছেন। দাম একটু চড়া হলেও ক্রেতারা মৌসুমি ফলের স্বাদ নিতে ভীড় করছেন বাজারঘাটে। চরফ্যাসন উপজেলার প্রতিটি হাট বাজার গুলোতে জমে উঠেছে জৈষ্ঠ্য মাসের ফলের বাজার। আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, জামরুল, আনারস, কলা ছাড়াও এ মাসে মিলছে লটকন, পেয়ারা ইত্যাদি।
সরাসরি সালাউদ্দিন ও রিপনের সাথে কথা বলে জানা যায়, জৈষ্ঠ্যের রসালো ফলের দাম বেশি হলেও পরিবার, সন্তান, মা-বাবার জন্য কম বেশি সবাই কিনে থাকেন। আমের দাম কম হলেও একশত লিচুর দাম ৪০০ টাকা, কাঁঠাল ধরণ অনুযায়ী ২০০-৫০০টাকা বা তারও বেশি। তবে দাম আরেকটু কম হলে নি¤œ আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকতো বলে জানান। ব্যবসায়ী মাকসুদ ও নয়ন বলেন, দামের মধ্যে শুধু আমের দামই তুলনামূলক কম। আড়াই কেজি আমের দাম ১০০টাকা। তবে ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যেই রয়েছে, বিক্রিও ভালো হচ্ছে বলে জানান তারা।
চরফ্যাসন হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুল হাই বলেন, দেশীয় ফলের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। মৌসুমি ফল দেহের রোগ প্রতিরোধ করতে ব্যাপক সাহায্য করে। যেমন ভিটামিন সমৃদ্ধ কাঁচা আম চোখ ভালো রাখতে সহায়তা করে, কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে। দেশীয় ফল ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিসহ দেহের খাদ্য পরিপাক ও পানির চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে বলে জানান তিনি।
প্রতিবেদনে: অধরা ইসলাম
রেডিও মেঘনা-চরফ্যাসন